কালো ছায়া.......... পর্ব দুই



-- আপনি মা হতে চলছেন!!
কথাটা এমনভাবে আঘাত করলো শায়লা বেগমকে, যেন হজারটা প্রতিশব্দ হয়ে কানে বাজতেছে। মাথাটা স্তম্ভিত হয়ে যায়! আকাশটা ভেঙে পড়লেও এতটা ভয়, দুশ্চিন্তিত বা আতঙ্কিত হতেন না! কি বলবেন, কি করবেন এখন?? সত্যিই'তো একবার ভাবা উচিৎ ছিলো? কোন protection ছাড়া physical চলছে, সেটা অজান্তেই হোক বা জান্তেই.. accident ঘটাবে অনিবার্য!
---- ডক্টর পুতুল, আমি মহা বিপদে আছি! (কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কথাটা বললেন "শায়লা বেগম")
-- সেটাতো দেখতেই পাচ্ছি, কিন্তু আপনিতো একজন Literate & business woman..so protection এর বিষয়টি মাথায় নিয়েই physical টা করা উচিৎ ছিলো।
----- কিন্তু আপনি যেটা ভাবছেন........
--(ডঃ পুতুল, কথা শেষ করতে দিলেন না) শুনুন মিসেস শায়লা, এটা আমি- আপনি- সবাই জানে এভাবে এতদিন একা একা থাকা যায় না। So একটা সঙ্গী সাথীর দরকার, কিন্তু এভাবে.........
-----(এবার ডঃ পুতুলের কথা কেড়ে নিয়ে) না, এমনটি কিচ্ছু নয়! আমি একটা accident affair এ জড়িত, যাঁর কোন ভিত্তি নেই, প্রমাণ নেই কিন্তু প্রতিরাতে আমার অজান্তেই ধর্ষনের শিকার হচ্ছি!
-- OMG! How possible?? আপনি ঠিক আছেনতো??
----- দেখুন আমি shocked খেয়েছি ঠিক তবে মানসিক রোগী বা অন্য কিছু ভাববেন না!
-- কিন্তু আপনি যা বলছেন, সেটাতো........
----- হুম এটা abnormal কথাবার্তা! কিন্তু এটাই বাস্তবিক!!
তারপর শুরু থেকে শেষ অব্দি ডক্টর পুতুলের সাথে share করলেন! সবটা শুনার পর, পুতুলও shocked!
হতভম্ব হয়ে, অটোমেটিক মুখ হাঁ হয়ে যায়! ভাবলেন, কি unbelievable কথা? কি করে সম্ভব?? তারপর বললেনঃ
-- কিন্তু আপনি দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে ঘুমান'নি কেন বা cc camera সেট করেন নি কেন? তবেইতো আসল রহস্য উদঘাটন হয়ে যেত!!
------ দেখুন আমার স্বামীর accident এর সময় আনিকা, অনন্যা ছোট ছিলো বিধায় রাতের বেলা ঘুমের মধ্যেই ওরা আমার রুমে চলে আসতো! তাই কখনো দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে পারিনি। আর সেই অভ্যাসটা এখনো বিদ্যমান, তাছাড়া দরকারো পড়েনি এতদিন। যদি হুট করেই বন্ধ করি তবে মেয়েরাও সন্দেহের চোখে দেখতে পারে যে, আম্মু কি অন্য কিছুতে জড়িয়ে গেছে কিনা??
-- আর সিসি ক্যামেরা??
----- ঐটাও মাথায় আসছিলো, তবে বাসার ভিতরে হুট করেই......
-- হুম বুঝতে পারছি!
----- এখন কি করব? আমারতো শরীর, মাথা একসাথে অবশ হয়ে যাচ্ছে!!
-- আমার পরিচিত একজন গোয়েন্দা বন্ধু আছে, ও একটা private agency চালায়! আপনি চাইলে কথা বলিয়ে দিতে পারি। আমারো এরকম একটা ঝামেলাতে জড়িয়ে বন্ধুত্ব হয়। তবে দ্রুতই case success হয়! So brilliant!!
----- হুমম সেটাতো বুঝলাম কিন্তু এখন আমার pregnancy এর কি হবে?? মার পরিবার/অফিস স্টাফরা জানলে Suicide করা ছাড়া অন্য কোন Option থাকবে না!
-- চিন্তার কোন কারণ নেই, কারণ আপনার family এর সাথে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জড়িত আমি.. So নাড়ীনক্ষত্র সবই জানা....

-----(ভীমড়ি খেয়ে) চিন্তার কারণ নেই? মানে??
-- মানে simple! যখনই আপনি রাত্রে মাথা ঘুরে পড়ে যান, আনিকা ফোন করার পর বাসায় যেয়ে আপনার এ-পরিস্থিতি দেখেই বুঝতে পারি "You are pregnant!" তাই আমি নিজে থেকেই দ্রুত admit করিয়ে ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলি............
---- (অতি উচ্ছ্বাসিত হয়ে, কথা শেষ হবার আগেই) ডঃ, আমার প্রাণটা যেন ফেরৎ আসলো! বুকের উপর থেকে অনেক বড় একটা পাহাড় সরে গেলো!
-- কিন্তু জিজ্ঞেস করলেন না, এটা কেন করেছি? তাছাড়া patient বা তাঁর পরিবারের কারো অনুমতি ছাড়াও তো এমনটি করা নিষেধ?? 

----- অনুমতি?নপরিবার?? কি সব যাতা বলছেন??
-- যাতা নয়, মিসেস শায়লা! এটাই ঠিক, কারণ অনুমতি ছাড়া অবারশন করানো অনুমোদন নেই! আইন বিরোধী!
----- (প্রায় কান্না কন্ঠে, গলা বোঝে আসে) তবে কি সবাই......
-- না, চিন্তার কারণ নেই! কেউ জানে না, শুধু আপনি আর আমি!
----- তবে যে বললেন পরিবার, অনুমতি??
-- ঐটা formality, কিন্তু সব ক্ষেত্রে চলে না! এত বছরের একটা সম্পর্ক আমাদের মধ্যে, আমিতো নিজেকে আপনাদের পরিবারেরই কেউ মনে করি! So আপনার পরিবারের সম্মান, আমারো সম্মান। প্রথমে ভেবেছি আপনার কোন অবৈধ সম্পর্কের ফসল এটা, আর যার দরুন ধ্বংস হতে চলছে এমন সাজানো বাগান! এত সুন্দর সুনামের পরিবার অপনাদের!
----- হুমম আপনিতো পরিবারেরই একজন। ধন্যবাদ ডক্টর পুতুল, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এমন সুহৃদের জন্য।
এতক্ষণে আনিকা, অনন্যা এসে হাজির, আনিকা হাফাতে হাফাতে বললঃ
--- ডঃ আন্টি, বিলতো পেমেন্ট করা দেখলাম! শুধু শুধু এ ফ্লোর, ও ফ্লোর করে ঘুরে আসলাম।
-- হুমম, বিল পেমেন্ট করা, আমিতো জানি! তোমাদের দু'বোনকে আগে একদিন বলিছিলাম, Daily হাঁটাহাঁটি করতে, জগিং করতে... কিন্তু না, তোমরা একদমই করোনা, তাই এটা punishment দিলাম! Next time যদি আবারো অলসতা করো তবে আরো Dangerous punishment দিব। Ok??
(কথাগুলো বলেই শায়লা বেগমকে গোপনে চোখ টিপ দিলেন ডঃ পুতুল! কারণ যদি মেয়েরা বিল পেমেন্ট করতো, তবেতো সবই জেনে যেতো)
--- (দু'বোন সমুচ্চ স্বরে) Ok Aunt.....
------ (আনিকা হাসতে হাসতে আরো বলল) আন্টি মোবাইলে গেইম খেললে হবেতো??
-- (ডঃ পুতুল সমতালে হেসে হেসে) ওরে দুষ্ট মেয়ে! দেখছেন মিসেস শায়লা, আপনার মেয়ের মাথায় কত পাঁকনা বুদ্ধি??
তারপর একসাথেই সবাই হেসে উঠলো। পরিবেশটা অনেক হালকা হয়ে গেলো।

শায়লা বেগমের নিজেকে অনেক Happy মনে হলো, যেন বিশাল একটা ঝড়ের কবল থেকে বেঁচে গেলেন!!
ডঃ পুতুলের কথামতো গোয়েন্দা এজেন্সির মালিক # শুভনের সাথে সাথে দেখা করেন শায়লা বেগম। সমস্ত ঘটনার বর্ণনা শেষে শুভন বলেনঃ
-- very interesting thriller case! সত্যিই একটা ভৌতিক গন্ধ পাচ্ছি, তবে আপনার pregnancy হবার বিষয়টি case টা আরো জটিল করে তুলছে! আচ্ছা আপনার বাসার বাহিরে কোথাও সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে??
----- না, কখনো প্রয়োজন হয়নি।
-- Ok, No problem. ঐটা আমাদের লোক গোপনে সেট করে দিবে। বাহির থেকে ভিতরে কেউ আসলে ধরা খেয়ে যাবে! এখন আপনি বাসায় যান এবং এমনভাবে দৈনন্দিন কার্যক্রম করুন যেন কিছুই হয়নি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মেয়ে Argent কে পাঠিয়ে দিব আপনার বাসায়, আপনি শুধু বন্ধুর মেয়ের পরিচয় দিয়ে সবাইকে বলবেন, ৭ দিন থাকবে।
----- আর কিছু??
-- আপাতত আর কিছু নয়! প্রয়োজন মোতাবেক আমরাই ব্যবস্থা নিব এবং যোগাযোগ করে নিব! আর মনে রাখবেন, আপনি কখনো আমাদের সাথে ফোনে কথা বলবেন না, কারণ শত্রুকে দুর্বল ভাবা বোকামী! হয়তো আপনার ফোন, এমনকি জীবনটাও ট্র্যাকিং করতে পারে!!
----- (ভয়ে চোয়াল ঝুলে গিয়ে) হায় আল্লাহ্, কি ভয়ানক?? তবে যোগাযোগের প্রয়োজন হলে??
-- যে মেয়েকে পাঠাবো ওর নাম
# সাদিয়া , যাবতীয় কথা ওকে বলবেন আর ও আমাদের সাথে গোপন যন্ত্রের সাহায্যে যোগাযোগ করবে।
আরো কিছু গোপন দিক নির্দেশনা নিয়ে, শায়লা বেগম বিকালের দিকে বাসায় ফিরেন। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে শান্ত রাখতে পারছেন না! কোন এক অজানা চাপা উত্তেজনা ফিল করছেন! বিশেষ করে সবশেষের কথা বারবার মাথার মধ্যে ঘোর পাক খাচ্ছে "জীবনটাও ট্র্যাকিং" করতে পারে! সত্যিই কি তাই? আমি কি কোন serious problem ভিতরে আছি?
হ্যাঁ তাইতো, নয়তো এমন একটি ঘটনা ঘটে গেলো যা কল্পনাতীত! আমাকে আরো আগেই সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিলো। একজন আইনের লোকের সাথে share করা উচিৎ ছিলো। মেয়েরা লজ্জায় মুখ বন্ধ রেখে এভাবেই ফেঁসে যায়। আমিও তাঁর ব্যাতিক্রম হলাম না!
--- ম্যাম কি ভাবতেছেন??
(জেসিয়ার কথাতে ধ্যানভগ্ন হয়ে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলেন, দুই মগ ধূমায়িত কফি হাতে নিয়ে ওর দিকেই আসছে! মনেমনে বললেনঃ মেয়েটি কত স্মার্ট, আর আমার প্রতি কত যত্নবান। just time এ কফি নিয়ে হাজির।
----- (হাতে কফি নিয়ে) ধন্যবাদ জেসিয়া। সত্যি এমুহূর্তে ১ মগ কফির বড্ড প্রয়োজন ছিলো। তুমি কি করে মনের খবর জানো??
-- (মুচকি হেসে) আপনাকে যে অনেক ভালোবাসি তাই!
----- ohh sweet girl.. Thank you..
-- welcome.. কি ভাবছিলেন??
----- (ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে) কৈ, কিছু নাতো! এমনিতেই একটু টায়ার্ড ফিল করছিলাম, তাই ইজি চেয়ারে বসে চোখ বন্ধ করে একটু ঝিমুচ্ছিলাম!!
জেসিয়া আর কথা বাড়ালো না, দুজনে মিলে নিরবে কফি পান করছে! কিন্তু কফির মগ শেষ করার আগেই কলিং বেল বাজলো, বেলের শব্দে মগ থেকে কিছুটা কফি ফেলে দিলো শায়লা বেগম! এসবই জেসিয়ার নজর এড়ালো না!
কাজের মেয়ে বুলবুলি দরজা খুলে দিলো, একটা ২২/২৩ বছরের খুব সুন্দরী মেয়ে প্রবেশ করলো। স্লিম ও জীমন্যাস্টীক বডি, জিন্সটপ পরা, কাঁধে ব্যাগ, বুকটা সুউচ্চ, দেখেই হার্টবিট বেড়ে যাবার অবস্থা!
-- কেডা আপনি, কারে চাই?? (বুলবুলির কৌতূহল প্রশ্ন)
--- তুমি চিনবেনা, আমি সাদিয়া! শায়লা আন্টি কোথায়??
ততক্ষণে শায়লা বেগম (পিছনে জেসিয়া) সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামছেন, হাসিখুশি মুখে বললেনঃ
----- মা'মনি এত দেরী করলে কেন? তোমার বাবাতো সেই সকালে ফোন করে বলল, "তুমি আসতেছ!!
তো রাস্তায় কোন সমস্যা??
-- আন্টি, আপনিতো জানেন'ই বর্তমান রোডের কি পরিস্থিতি? বগুড়া থেকে ঢাকা আসতেই ১২ ঘন্টা লেগে গেলো, Disgusting......
---- Ok, মা'মনি যাও তুমি ফ্রেশ হও, long journey করেছ। পরে আড্ডা হবে জমিয়ে।
তারপর বুলবুলির উদ্দেশ্যে বললেনঃ তুই কারেন্টের খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? যা তুর আপুমনিরে গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দে??

একক এ ভিলাটা "দ্বিতল ভবন"। নীচ তলাতে বিশাল বড় ড্রয়িং রুম ও ডাইনিং স্পেস, সাথে লাগোয়া কিচেন রুম। তারপর একপাশে মেইড রুম, স্টোর রুম, দুইটা গেস্ট রুম! আর দু'তলাতে দুইটা মাষ্টার বেডরুম, একটাতে শায়লা বেগম অন্যটাতে শ্বশুড় শ্বাশুড়ি থাকেন। আরো তিনটা ছোট বেডরুম আছে, একটাতে জেসিয়া আর অন্য দুই রুমে, দু'বোন থাকে!

তাই সাদিয়ার স্থান হলো নীচ তলাতে, স্টোর রুমের পাশের গেস্ট রুম টাতে। সাদিয়া দরজা বন্ধ করে, ব্যাগ বিছানোর উপর ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেজাজটা ৩৬০° up করে নিজেই নিজেকে বললঃ
-- বাল! কি একটা রুম select করছে! এখান থেকে দু'তলা নজরে রাখা so trapped!

তারপর ফ্রেশ হয়ে, ধাবার ছক কষতে বসে যায় সাদিয়া। রাতের আধারে মেইন গেইট থেকে শুরু করে পকেট গেইট ও অন্যান্য সম্ভাব্য সকল প্রবেশ পথে গোপন মাইক্রো সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। কোন কিছুই যেন নজর থেকে এড়াতে না পারে।
তারপর এজেন্সি অফিসে দেয়া শায়লা বেগমের বাড়ির ম্যাপটা, বসে বসে যত্নসহকারে Study করলো। সবকিছু ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে, রাত ৮ টার দিকে রুম থেকে বের হয়ে সবার সাথে পরিচিত হলো। একসাথে চা'নাস্তা করলো আর বসের নির্দেশনা অনুযায়ী জেসিয়ার উপর extra নজর দিলো।

হুমম, মেয়েটা সন্দেহাতীত নয়! মেয়েটা দেখতে কালো হলে কি হবে? বাকি সবই একশো একশো। কেমন একটা careful & smartness ভাব বিদ্যমান, যা সাধরণত কোন নার্সের মধ্যে দেখা যায় না। তবে কি জেসিয়া কোন গোয়েন্দা এজিন্সির এজেন্ট??
হতেও'তো পারে! বসের কাছে শুনেছি শায়লা বেগমের কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা। যা তিনি একাই নিজহাতে দেখাশোনা করেন। কারো কুনজর, বদ নজর পড়াটাই স্বাভাবিক। যাহোক আরো অনেক কিছুই হতে পারে। খুব সাবধানে ও সতর্কতার সহিত প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলতে হবে....

ডিনারের পর গল্পগুজব করে, যে যার রুমে চলে যায়। রাত ১১.৩০! শায়লা বেগমকে আগেই বলা হয়েছে, পরবর্তী সিগনাল না দেয়া পর্যন্ত জেসিয়ার সাথে বসে গল্প করে যেন ওনার বেডরুমে।

সাদিয়া, বিকল্প চাবি দিয়ে মেইন দরজা খুলে বাহিরের সমস্ত প্রবেশ পয়েন্টে ছোট্র গোপন সিসি ক্যামেরা সেট করে। শরীরটা কেমন ক্লান্ত ও ঘুমঘুম ভাব, মনে হচ্ছে কতদিন ঘুমায়নি। তাই দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে রুমে প্রবেশ করে ঘড়ি দেখলো, সময় ১২.৩৫!
সাদিয়া গেস্ট রুমে প্রবেশ করে দরজাটা হালকা খোলা রেখে এমনভাবে চেয়ার নিয়ে বসে যেন বাহিরের সব কিছু দেখা যায় কিন্তু বাহির থেকে সাদিয়ার উপস্থিতি টের পাওয়া না যায়! তারপর শায়লা বেগমকে মেসেজ দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে....

এক-দুই করে তিন মিনিট অপেক্ষা করেও কোন response পেলো না শায়লা বেগমের! সাদিয়ার চোখজোড়াও কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে আসছে। রাজ্যের ঘুম এসে ভর করছে! তবুও Higher trainer body বলেই হয়তো এতক্ষণেও চোখ বন্ধ হয়েও হয়নি! ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও যখন কোন রেসপন্স বা জেসিয়াকে রুম থেকে বের হতে দেখা গেলো না, তখন সাদিয়ার ৬ষ্ঠ ইন্দ্রিয় জেগে উঠলো। তবে কি আমি বাহিরে থাকা অবস্থায়, already........
না, আর ভাবা নয়! এবার হাতেনাতে ধরতে হবে! অনেক কষ্টে চোখ খোলা রেখে, পা টানতে টানতে শায়লা বেগমের বেডরুমে উঁকি দেয় সাদিয়া!
কিন্ত রুমের দৃশ্য দেখে সাদিয়ার চোখ কপালে উঠে যায়.........
#চলবেই

No comments

আপনার মুল্যবান মন্তব্য এখানে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।

Theme images by Storman. Powered by Blogger.