প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত, কাহিনীটি পড়লে চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না!



প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত,
কাহিনীটি পড়লে চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না!


ভালোবাসা মনে হয় এমনই হয়। যুগে যুগে আমরা প্রেমের বিরল কিছু ইতিহাস আমরা কম বেশি সবাই জেনেছি। লাইলি-মজনু কিংবা শিরি-ফরহাদের কথা তো অধিকাংশ মানুষই জানে। কিন্তু এ যুগেও যে প্রেম অমলিন তা আবারও প্রমান করে বিরল এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন লন্ডনের এক জৈনিক দাতা প্রেমিক।

ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলি। ৩১ বছরের এমা হপলে। অদ্ভুত এক মরণ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এমার পিত্তনালি, দিন দিন ভিতর ও বাইরে থেকে ছোট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে খাবারের ‘ফ্যাট’ তার হজম হচ্ছে না। এদিকে গত মাসের ৩০ তারিখ এমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে।

২০১৪-এর ক্রিসমাসের দিন ডেভ অ্যামিসন তাকে ‘প্রপোজ’ করেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে এমা বিয়ের তারিখ এগিয়ে আনেন। এবং প্রপোজালের ঠিক এক বছর পরে, অর্থাৎ, ২০১৫র ২৫ ডিসেম্বর চার হাত এক হয় এমা-ডেভের।

বার্মিংহ্যামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালেই সেই শুভ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এমা হপলের বাবা ও তাঁর ছোট্ট ছেলে, হুইলচেয়ারে করে তাকে নিয়ে যান পাত্র ডেভের কাছে। এমার বান্ধবী তাঁকে যথাযথ সাজিয়ে তুলেছিল কনের সাজে। এবং বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরেই এমার জীবনে ঘটে গেল তার ‘বহু প্রতীক্ষিত’ ঘটনা।

খবর এল জনৈক ‘দাতা’র। পরিচয় গোপন রেখে সেই দাতা ব্যক্তি তার লিভার দান করেন এমাকে। তার পর দীর্ঘ চোদ্দ ঘণ্টা ধরে লিভার প্রতিস্থাপন হয়। অস্ত্রোপচারের সময়ে কিছু অসুবিধা দেখা গেলেও, এমার অবস্থার উন্নতি হয়েছে ধীরে ধীরে। পরে এমার স্বামী বলেছেন ‘আমাদের বিয়ের সব থেকে দামী ‘গিফট’ দিয়েছেন ওই দাতা।

কিন্তু প্রশ্ন হলো কেই এই দাতা? নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিজের লিভার দান করেছেন যিনি, সেই মানুষটি মূলত এমাকে খুব ভালোবাসতো। তবে এমা তাকে কখনোই ভালোবাসেনি। জৈনিক ওই প্রেমিক তার লিভার দান করে আবারও বুঝিয়ে গেলেন ‘পৃথিবীতে ভালোবাসার স্থান’ অনেক উপরে এবং এমা তার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না।

No comments

আপনার মুল্যবান মন্তব্য এখানে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।

Theme images by Storman. Powered by Blogger.